Geography- (সামুদ্রিক কার্যকলাপ)
(Q) সমুদ্রতরঙ্গের সঞ্চয়কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপ গুলির চিত্রসহ বিবরণ দাও । 5/4/3
উত্তর: সমুদ্রতরঙ্গের সঞ্চয়কার্যের ফলে উপকূল অঞ্চলে বিভিন্ন প্রকার বৈচিত্র্যময় ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়। প্রধান ভূমিরূপ গুলি নিম্নে আলোচিত হল--
1) সামুদ্রিক বাঁধ: সমুদ্রতরঙ্গ ও সমুদ্রস্রোত দ্বারা বয়ে আনা বালি ,নুড়ি , প্রস্তরখণ্ড ইত্যাদি বস্তুর সঞ্চয়ে সমুদ্রবক্ষে নিমজ্জিত অথবা সমুদ্রপৃষ্ঠের ঊর্ধ্বে জেগে ওঠা সংকীর্ণ স্তূপকে বাঁধ বলে । যেমন- কৃষ্ণা , গোদাবরী নদীর মোহনায় এরূপ বাঁধ দেখা যায় ।
(i) প্রচুর ক্ষয়জাত পদার্থসহ জলরাশি উপকূলের সমান্তরালে প্রবাহিত হলে , তটরেখা অনিয়মিত হলে চরবাঁধের সৃষ্টি হয় । বাঁধ বিভিন্ন প্রকার হতে পারে ; যথা-
👉 পুরদেশীয় বাঁধ যেমন- ওড়িশা ও কেরলে দেখা যায়।
👉 অনুতটীয় বাঁধ- এগুলি সাধারণত ভাটার সময় দেখা যায়।
👉 প্রতিবন্ধক বাঁধ- যেমন- টেক্সাস উপকূলের পাদ্রা।
2) স্পিট: যখন বাঁধের একপ্রান্ত স্থলভাগের সঙ্গে এবং অন্য প্রান্ত সমুদ্রের দিকে প্রসারিত হয় ,তখন তাকে স্পিট বলে । যেমন- ভারতের চিল্কা হ্রদের সম্মুখে 50 কিমি দীর্ঘ স্পিট রয়েছে।
বৈশিষ্ট্য: (!) স্পিট স্থলভাগ থেকে শুরু হয়ে সমুদ্রের দিকে প্রসারিত হয় । (!!) স্পিটের অক্ষরেখা উপকূলের সমান্তরালে প্রসারিত হয় । (!!!) স্পিট বিভিন্ন আকৃতির হয়ে থাকে ।
আকৃতি অনুযায়ী স্পিট তিন প্রকার-- (!) ঘূর্ণন স্পিট (!!) হুক বা পূর্ণবক্র স্পিট ও (!!!) কাস্পেট স্পিট ।3) টম্বোলো: যখন কোনো স্পিট কোনো দ্বীপকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করে , তখন তাকে টম্বোলো বলে। যেমন- ব্রিটেনের চেসিল সৈকত ও অকল্যান্ড দ্বীপ টম্বোলো দ্বারা যুক্ত।
4)সৈকতভূমি: তরঙ্গকর্তিত মঞ্চের ওপর যখন নুড়ি, কাঁকড় , বালি , শিলাখন্ড প্রভৃতি আলগা বস্তু জমা হয়ে সমুদ্রের দিকে ঢালু সমতল ভূমি গড়ে তোলে , তাকে সৈকতভূমি বলে। যেমন- পশ্চিমবঙ্গের দীঘা সৈকতভূমি ।
5) বে বার ও লুপবার: উপসাগরের সম্মুখভাগে স্পিট বর্ধিত হয়ে বে বার গঠন করে । যখন দ্বীপের একপ্রান্তে স্পিট বর্ধিত হয়ে পুনরায় মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়, তখন তাকে লুপবার বলে । যেমন- সাপকা দ্বীপে লুপবার দেখা যায়।
6) উপহ্রদ বা লেগুন: পুরদেশীয় বাঁধের পশ্চাতে আবদ্ধ লবণাক্ত জলাভূমিকে উপহ্রদ বা লেগুন বলে। লেগুন কে স্থানীয় ভাষায় কয়াল বলে । যেমন- চিল্কাহ্রদ ।